পুরুষের স্বাস্থ্যগত ৭ সত্য-মিথ্যা জেনে নিন

১. নিয়মিত শেভ করলে ঘন দাড়ি হয়- মিথ্যা
অনেক পুরুষেরই এ ধারণা রয়েছে যে, নিয়মিত দাড়ি শেভ করলে তাতে দাড়ি ঘন হয়ে যায়। যদিও এ ধারণার বাস্তব ভিত্তি নেই।
২. স্টাইল করায় চুল হারাতে পারে- সত্য
এটা স্বীকার করতেই হবে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল হারানোর পেছনে বংশগত ও হরমোনজনিত প্রভাব সবচেয়ে বড়। তবে অনেক ক্ষেত্রে নিম্নমানের প্রসাধনী, হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস দেওয়া কিংবা অনুরূপ ক্ষতিকর কারণে চুল হারানোর ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. শুধু বুড়োদেরই প্রস্টেট ক্যান্সার হয়- মিথ্যা
এটা সত্য যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রস্টেট ক্যান্সার বয়স্ক ব্যক্তিদেরেই হয়। এ ক্ষেত্রে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে তার মানে এটা নয় যে, শুধু বয়স্কদেরই প্রস্টেট ক্যান্সার হয়। সব বয়সী পুরুষদেরই এটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. অস্টেওপরোসিস শুধু নারীদের হয়- মিথ্যা
হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার রোগ অস্টেওপরোসিস। নারীদের প্রচুর পরিমাণে এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। যদিও পুরুষেরাও প্রচুর এ রোগে আক্রান্ত হয়। তবে পুরুষের হাড়ের কাঠামো অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হওয়ায় তা সামলে ওঠা সহজ হয়।
৫. পুরুষের স্তন ক্যান্সার হয় না- মিথ্যা
অনেকেই জানে না যে, স্তন ক্যান্সার কিছু পুরুষের হয়ে থাকে। এ রোগটি নারীদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও তার আওতার সম্পূর্ণ বাইরে নেই পুরুষরা।
৬. অ্যালঝেইমার্স শুধু বুড়োদেরই হয়- মিথ্যা
স্মৃতিশক্তি নষ্ট করা রোগ অ্যালঝেইমার্সে প্রচুর বয়স্ক লোককে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এটি ৬৫ উর্দ্ধ ব্যক্তিদের মাঝে সাধারণত হয়। তবে প্রতি বছর তার চেয়ে কম বয়সী প্রচুর নারী-পুরুষের এতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
৭. পুরুষ ১৮ বছর বয়সে যৌনতার শীর্ষে থাকে- মিথ্যা
'যৌনতার শীর্ষ' বলতে যা বোঝায় তা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে এ বয়সটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। পুরুষের যৌনতার শীর্ষ সময়টি হতে পারে ২০, ৩০ কিংবা ৪০ বছর বয়সও।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন