Thursday, July 2, 2015

কৈ মাছেও কৃত্রিম রঙ!


নাটোর : কৃত্রিম রঙ দিয়ে ক্রেতা ঠকিয়ে কতো কিছুই না বিক্রি হয়। তরমুজ, বেদেনা, আম, লিচুসহ হরেক রকম ফল, ডাটা শাকে রঙ দিয়ে লালশাক, টমেটো, মসলা, ভাজাপোড়া কিংবা যে কোনো খাদ্যপণ্যে কৃত্রিম রঙ দিয়ে আকর্ষণীয় করে বাজারে তোলা হয়। সেসব পণ্য বিক্রিও হয় দেদারছে। কি সচেতন, কি অসচেতন সব ক্রেতাকে অবশ্যই নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনে ঘরে ফিরতে হয়।
তবে বাজারে ক্রেতাদের সবচেয়ে বড় আস্থা আর বিশ্বাসের পণ্য কিন্তু এখনও দেশি মুরগী আর মাছ। অন্তত এদু’টিতে ভেজাল কিংবা কৃত্রিম কিছু মেশানোর সুযোগ নেই বলেই মনে করেন ক্রেতারা। তবে সম্প্রতি ক্রেতাদের এ বিশ্বাসকে মুনাফা হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন নাটোরের মাছ ব্যবসায়ীরা। হাইব্রিড কৈ মাছে কৃত্রিম রঙ দিয়ে দেশি প্রজাতির হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। ক্রেতারাও বেজায় খুশি টাটকা দেশি কৈ মাছ পেয়ে। বেশি টাকা দিয়েই তারা কিনছেন দুর্লভ দেশি কৈ।
এ ঘটনায় ক্রেতাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর আগে কখনও বাজারে এভাবে দেশি মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়নি। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।তবে বিক্রেতাদের এ প্রতারণা ফাঁস করেছেন নাটোর বাজার মনিটরিং কর্মকর্তারা। নিয়তিম মনিটরিং এর অংশ হিসেবে শনিবার সকালে নাটোর শহরের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেন তারা। এসময় রঙ দিয়ে হাইব্রিড কৈ মাছ দেশি হিসেবে বিক্রির অভিযোগে ৪০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।
বাজার মনিটরিং কর্মকর্তরা পরে বিভিন্ন দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা সম্বলিত বোর্ড দেখতে না পেয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন। সব দোকান মালিককে নিয়মিতভাবে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেন।
নাটোরে বাজার পরিদর্শনকালে পরিদর্শকরা বিক্রেতার বিক্রয়মূল্য ও ক্রেতার ক্রয় মূল্যের অসঙ্গতি দেখতে পান। এসময় উপস্থিত ছিলেন দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী, মার্কেটিং অফিসার আব্দুল গফুর, ক্যাব জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বাবু চিত্তরঞ্জন সাহা প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment