পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে বান্দরবানের রূপ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। বান্দরবান বলতে অনেকেই বুঝেন নীলগিরি-নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির বা বগা লেককে। প্রকৃতির এসব নৈসর্গ ছাড়াও বান্দরবানে আরও কিছু কোমল ছোয়ার পরশ আপনি পেতেই পারেন। সেরকম একটি দর্শণীয় স্থানের নাম তিন্দু। তিন্দু বাংলাদেশের ভূ-স্বর্গ।
তিন্দুতে গেলে আপনার মনে হবে পৃথিবীতে তিন্দুর মত এমন ঘুম-ঘুম সুন্দর জায়গা আর একটিও নেই। তিন্দু বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। প্রাকৃতিক আকর্ষণের কারণে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী পর্যটকদের কাছে অঞ্চলটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান হিসেবেই বেশ পরিচিত। তাই আপনি যদি একটু অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে এই স্থানের স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখার ভুলটি কখনও করবে না।
যাত্রাপথ
তিন্দু নামক ওই প্রকৃতি মায়ের কোলে যেতে চাইলে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে.. প্রথমে আপনাকে বান্দরবান শহরে যেতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ছেড়ে যায়।
তিন্দু নামক ওই প্রকৃতি মায়ের কোলে যেতে চাইলে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে.. প্রথমে আপনাকে বান্দরবান শহরে যেতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ছেড়ে যায়।
যেমন শ্যামলি, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, ডলফিন- এর যেকোনো একটি বাসে চড়ে আপনি বান্দরবানের যেতে পারেন। রাত ১০টায় অথবা সাড়ে ১১টার দিকে কলাবাগান, সায়েদাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে এসব বাস বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। নন এসি বাসে জন প্রতি ভাড়া ৫৫০ টাকা।
আপনি চাইলে প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম। তার পর চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান হয়েও যেতে পারেন। বদ্দারহাট থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস যায়। এসব বাসে জনপ্রতি ২২০টাকা ভাড়া রাখা হয়।
ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাস চড়লে আপনি সকাল ৭:৩০ এর মধ্যেই বান্দরবান পৌঁছে যাবেন। এক্ষেত্রে গ্রুপ করে গেলে ভালো হয়। তাতে খরচ কম হবে। আপনি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে নিতে পারেন। তবে এতে খরচ তিন থেকে চার হাজার টাকা হতে পারে। বান্দরবান শহর থেকে থানচি উপজেলা সদরের দূরত্ব ৮২ কিলোমিটার।
বান্দরবান শহর থেকে থানচি যাওয়ার পথে চাইলে মাঝে বলিপাড়ায় কিছুক্ষণ যাত্রা বিরতি নিতে পারেন। সকালে রওনা দিলে দুপুরের মধ্যে থানচি পৌঁছে যাবেন। থানচিতে ব্রীজ নির্মাণ করায় এখন নদী পার হওয়ার ঝামেলা নেই। তারপর সাংগু হেটে পার হয়ে থানচি বাজারে পৌঁছাবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সবার আগে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে বিজিবিকে আপনার পরিচয় দিয়ে তাদের নিকট থেকে অনুমতি নেয়া। যাত্রা পথে যে বাজারটি দেখবেন সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে নিতে পারেন।
বাজার থেকে অপনাকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। একটি কথা বলে রাখি, এখানে আলাদা কোনো গাইড পাওয়া যায় না। তাই নৌকার মাঝিই আপনার গাইডের কাজ করবে। নৌকা ভাড়ার খরচ নির্ভর করবে দিনের পরিমাণের ওপর। নৌকা ভাড়ার জন্য আপনাকে দিনপ্রতি প্রায় ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা গুনতে হবে।

No comments:
Post a Comment